প্রকাশিত 'অনুভূতির কথায়' কৃষ্টিগত সাময়িকী এবং সম্মানীত
চিকিৎসক গল্পকার
জেএসপি ডেস্ক, হরিহরপাড়া : পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা
থানা এলাকার প্রান্তিক গ্রাম ঝাউবোনা থেকে প্রকাশিত হয় বাৎসরিক মুদ্রিত 'অনুভূতির কথায়' কৃষ্টিগত সাময়িকী। সম্প্রতি, হরিহরপাড়ার এক প্রাইভেট গানের স্কুলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল সাময়িকীটির
বিশেষ সংখ্যা। দফায় দফায় কোভিড বিধি-নিষেধের সময় বাড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৫০
জন নিয়ে বিবাহ অনুষ্ঠনের অনুমতি থাকলেও অনুমতি ছিল না ধর্ম ও সামাজিক
অনুষ্ঠানগুলিতে। ১ জুলাই আবারও বিধি-নিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয় ১৫ জুলাই পর্যন্ত।
তবে এবার শর্ত মেনে বাস, অটো চলাচলে ছাড়-সহ ২০ জন নিয়ে সামাজিক
অনুষ্ঠানে ছাড়া বা অনুমতি মিলেছে। আর তখনি ৪ঠা জুলাই সরকারি বিধি-নিষেধ মেনেই
লাইডস্পিকার ছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে পত্রিকা প্রকাশ করল 'অনুভূতির কথায়'। এই সংখ্যা প্রকাশে উপস্থিত ছিলেন
অতিথি হিসেবে গল্পকার মুহাম্মদ জিকরাউল হক, উপদেষ্টা ও কবি হাবিবা
খাতুন, অনুষ্ঠান সভাপতি হিসাবে সৈয়দ শীষমহাম্মদ, সঞ্চালক হিসাবে সৌরভ হোসেন প্রমুখ।
উদ্বোধনী সংগীতের পরেই মুর্শিদাবাদ জেলার সদ্য প্রয়াত
সাহিত্য সংগ্রামীদের স্মরণে ও বিদেয়ি আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিটের নীরবতা পালন
করা হয়। 'অনুভূতির কথায়'-এর সম্পাদক হামিম হোসেন মণ্ডল সাময়িকীটির উৎপত্তি, ভাবনা ও পথচলা নিয়ে সম্পাদকীয় বক্তব্য রাখেন। সংখ্যা প্রকাশের পর সাময়িকীর
পক্ষ থেকে গল্পকার হিসাবে সম্মান জানানো হয় সঙ্গে 'অনুভূতির
নির্যাস' পুরস্কার প্রদান করা হয় তরুণ চিকিৎসক
আবু তাহেরকে। ১ জুলাই, বৃহস্পতিবার ছিল জাতীয় চিকিৎসক দিবস, আর ঠিক পরে রবিবার কাকতালীয়ভাবে একজন চিকিৎসকই সংবর্ধিক হলেন। এই প্রথম
সম্মাননা ও পুরস্কারের রেওয়াজ শুরু করল 'অনুভূতির কথায়' বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার হামিম
হোসেন মণ্ডল।
স্বরচিত কবিতা পাঠ, স্বরচিত গল্প পাঠ, গানের শিক্ষক আমেদ আলী ও তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে
সম্পন্ন হয় অনুষ্ঠানটি। বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে এমন একটি মনজ্ঞ অনুষ্ঠান ও
সমাদৃত পত্রিকা উপহার দেওয়ার জন্য সম্পাদককে কুর্নিশ জানিয়েছেন উপস্থিত
সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রেমীরা। ‘বিধি-নিষেধ থাকায় স্বল্প আয়োজনে সরতে
হয়েছে অনুষ্ঠান।’ বলে সম্পাদক হামিম হোসেন মণ্ডল জানান, 'সংখ্যাটিতে সামিজিক
বিষয় নিয়ে প্রচ্ছদ কাহিনী, সত্য ঘটনা নিয়ে আত্ম কথন, কবিতা, ছড়া প্রভৃতি সব বিভাগই থাকছে।
অনুভূতিপ্রবণ শিক্ষণীয় সর্বপরি লেখাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।'
No comments:
Post a Comment