 |
অনুষ্ঠানে বই ও পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করছেন সংস্থার কর্ণধার সোমনাথ নাগ, কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী, কবি দেবপ্রসাদ বসু, বাংলাদেশের কবি মনি খন্দকার সহ বিশিষ্টরা।
|
যুথিকা প্রতিবেদক : ২য় অক্টোবর, মঙ্গলবার, কলকাতার যাদবপুর সংলগ্ন সূর্যসেন ভবনে, সূর্য সেন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েগেল 'ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী আন্তর্জাতিক বাংলা কবিতা উৎসব ২০১৮'। বিশ্ববঙ্গ বাংলা সাহিত্য একাডেমি ও যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা (RNI No : WBBEN
15721/2018)-র আয়োজনে বাংলা কবিতার এই আন্তর্জাতিক মানের কাব্যৎসব হয়। অনুষ্ঠান মূলত সম্বর্ধনা ও উপাধি সম্মাননা প্রদান পর্ব দিয়েই ঢেলে সাজানো ছিল। স্বরচিত কবিতা পাঠতো ছিলই, সংগীত ও নৃত্যও পরিবেশিত হয়েছে মঞ্চে, মোড়ক উন্মোচন হয়েছে কিছু গ্রন্থের।
এ'দিন যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা থেকে প্রকাশিত ১২জন কবির যৌথ কাব্যগ্রন্থ 'বিচিত্র কাব্যদর্শী', ১২জনের মিলিত 'সমদর্শী', মানসী মিশ্র হালদারের 'অল্পস্বল্প ছোটগল্প', উপল দত্তের লেখা 'রহিম ব্যাপারীর ঘাট', সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের কবিতার বই 'বিশল্যকরণী', শিলা বৃষ্টির কাব্যগ্রন্থ 'অস্তিত্ব', উষা চক্রবর্তীর 'সুজয় রাগিনী' এবং জামিনুর মোল্লার উপন্যাস 'অন্তহীন'-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রকাশিত হল যুথিকা সাহিত্য পত্রিকার এবারের উৎসব সংখ্যা এবং দেবপ্রসাদ বসুর সম্পাদনায় 'বাক্বিকল্প' অনুপত্রিকা।
এ'বছর 'কাব্যভারতী' উপাধি সম্মাননায় ভূষিত হলেন কবি সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়, কবি অমরজিৎ মন্ডল, কবি রূপালী গোস্বামী, কবি প্রবীর দাস, কবি মিনতি গোস্বামী এবং বাংলাদেশ থেকে কবি কাজী মাজেদ নওয়াজ ও কবি আরিফ বিল্লাহ মিঠু। 'কাব্যশ্রী' উপাধি সম্মাননায় ভূষিত হলেন কবি অজিতেশ নাগ, কবি ঋজুরেখ চক্রবর্তী, কবি হামিম হোসেন মণ্ডল, কবি হাবিব মন্ডল, কবি অসীম সরকার, কবি স্বপন রায়, কবি জয়ন্তী দেবনাথ, কবি তপন কুমার মাজি, কবি ষষ্ঠি কুমার দাস, কবি বিশ্বজিৎ মাইতি, কবি মৌসুমী পারুই, কবি সুমন কাঞ্জিলাল, কবি সুলেখা সরকার, কবি সন্দীপ ভট্টাচার্য্য এবং কবি মনিকান্ত সার।
 |
যুথিকা বিজ্ঞাপন
|
অনুগল্প প্রতিযোগিতা ২০১৮-এর ভিত্তিতে 'মহাশ্বেতাদেবী স্মৃতি পুরস্কার' পেলেন প্রথম মহেশ্বর মজি, দ্বিতীয় শঙ্করনাথ প্রামাণিক, তৃতীয় পারিজাত ঘোষ; চতুর্থ হলেন যুগ্মভাবে পাঁচজন এবং পঞ্চম হন এগারোজন।
অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী। অতিথি ছিলেন সমীর আইচ। বিশিষ্ট প্রবীণ কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তীকে 'কাব্যসুধাকর' উপাধি দেওয়া হয়, সঙ্গে একই মঞ্চে 'কাব্যসুধাকর' উপাধিতে ভূষিত হলেন কবি হামিম হোসেন মণ্ডল, কবি অমরজিৎ মণ্ডল, প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থার কর্ণধার সোমনাথ নাগ। সম্পাদক সোমনাথবাবু বলেন, 'আমরা সকল কবিকে সমানভাবে দেখে থাকি, যাঁদের মধ্যে সত্যিকারের কাব্যত্ব বা কবিতা রয়েছে।'
বাংলাদেশ থেকে অতিথি হিসেবে ছিলেন 'অমরাবতী' সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক মতিন বাঙালি, মনি খন্দকার; সঙ্গে ছিলেন আরজু আহমেদ নোমানী। উপস্থিত বিশেষ অতিথি, অতিথি এবং অতিথি প্রতিনিধিরা সকলেই স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন এবং 'কব্যসুধাকর' উপাধি সম্মাননায় সম্মানীত হন। সবমিলিয়ে মঞ্চে ১২৬ জন 'কাব্যসুধাকর' উপাধি সম্মাননা পেলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দর্শক প্রতিনিধিরা। নানা প্রান্ত থেকে কাব্যে অবদান রাখে চলা সাহিত্য প্রেমি মানুষ আমন্ত্রণ পেয়ে প্রাণের টানে চলে এসেছিলেন এই আন্তর্জাতিক কাব্য মঞ্চে।
কবি অরুণ কুমার বললেন, 'কবিতা লিখবেন চেষ্টা করে নয়, বরং ভেতর থেকে আসলেই লিখুন। চেষ্টা করে কবিতা না লেখাই ভালো।' 'কাব্যশ্রী' তুলে দিয়ে তিনি কবি হামিম হোসেন মণ্ডল-কে বলেন, 'দায়িত্ব আরও বেড়েগেল।'
এ'দিনের অনুষ্ঠানটি শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে, চলে বিকেল ৫টা অবধি। চলাকলিন টিফিন ও লাঞ্চের ব্যবস্থা ছিল। কবিতাপাঠ, নৃত্য পরিবেশনের মধ্যদিয়ে মাত্র ছয়ঘন্টায় এই বড় অনুষ্ঠানটি সুন্দর ও সার্থকভাবে সম্পন্ন হয়।
No comments:
Post a Comment